আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠা মুঠোফোনে অতি আসক্তি ও অতি নির্ভরতা স্বাস্থ্যর ওপর কু-প্রভাব ফেলে। মুঠোফোনের অতি ব্যবহারের কুফল নিয়ে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

কমে যায় শুক্রাণু: মুঠোফোন থেকে হাই ফ্রিকোয়েন্সির ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন নির্গত হয়। এই ক্ষতিকর তরঙ্গের সঙ্গে মস্তিষ্কে ক্যানসারের যোগসূত্র থাকতে পারে। এ ছাড়া শরীরের অন্য কোষকলা এই ক্ষতিকর তরঙ্গের প্রভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে পুরুষের প্রজননতন্ত্রেরও।
অধিকাংশ পুরুষই তাঁর মুঠোফোন প্যান্টের পকেটে রাখেন। এ সময় রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন পুরুষের প্রজননতন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে।
মুঠোফোন তরঙ্গে শুক্রাণুর ক্ষতিবিষয়ক সাম্প্রতিক এক গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা এ তথ্য পেয়েছেন। তবে এ তরঙ্গ ডিএনএর ওপর কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে কি না, সে বিষয়ে ভবিষ্যতে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে বলেই তাঁরা জানিয়েছেন।


জয়েন্টগুলোর ক্ষতি: অতিরিক্ত সময় ধরে মেসেজ বা বার্তা টাইপ করা হলে আঙুলের জয়েন্টগুলোতে ব্যথা হতে পারে এবং অবস্থা বেশি খারাপ হলে আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকেই কাজের সময় মুঠোফোন ব্যবহার করতে গিয়ে কাঁধ ও কানের মাঝে ফোন রেখে কথা বলেন। তাই, অনেকে ঘাড় ব্যথার সমস্যায়ও পড়ছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ হচ্ছে অতিরিক্ত সময় ধরে মুঠোফোনে বার্তা লিখবেন না, এতে করে শরীরের জয়েন্ট সমস্যা থেকে সুস্থ থাকতে পারবেন।
 
ঝুঁকিতে হৃৎপিণ্ড: মুঠোফোন ও সহজে স্থানান্তরযোগ্য মিডিয়া প্লেয়ারগুলো একটি নির্দিষ্ট পরিমাপের বৈদ্যুতিক ও চুম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণ হৃৎপিণ্ডের গতির ক্ষেত্রে এ ধরনের ক্ষেত্রগুলোর শক্তি কোনো প্রভাব ফেলে না। তবে পেসমেকার বসানো হৃৎপিণ্ডে বা হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনের পর সেখানে এ ধরনের কোনো যন্ত্র ব্যবহারের পর মুঠোফোনের তরঙ্গে কোনো প্রভাব ফেলে কি না, তা নিয়ে চালানো গবেষণায় উল্টো ফল দেখেছেন গবেষকেরা। হৃৎপিণ্ডে বসানো যন্ত্র মুঠোফোনের তরঙ্গে প্রভাবিত হতে পারে। তাই এ ধরনের সমস্যায় মুঠোফোন থেকে দূরে থাকাটাই শ্রেয়।


0 comments:

Post a Comment